অন পেজ অপটিমাইজেশন কি?
প্রথমেই বলে রাখি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ২ প্রকার, ১. অন পেজ অপটিমাইজেশন আর ২. অফ পেজ অপটিমাইজেশন।
অনপেজ অপটিমাইজেশন হল একটি ওয়েবসাইট এর এর মধ্যে যে এসইও করা হয় সেটা। অর্থাৎ একটি ওয়েব সাইটকে যে কোন সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যে অপটিমাইজেশন করা হয় সেটাই অনপেজ অপটিমাইজেশন বা অনপেজ এসইও বলা হয়।
অন-পেজ অপটিমাইজেশন কথাটি দেখলেই বোঝা যায় যে ওয়েব পেজের মধ্যে যে সকল অপটিমাইজেশন করা হয় তাকেই অন-পেজ অপটিমাইজেশন বলা হয়।
আমরা একটু গভীর ভাবে বিষয়টিকে চিন্তা করার চেষ্টা করি।
প্রথমে অমাদের ভাবতে হবে আমরা ওয়েব পেজে কি কি কাজ করে থাকি। সাধারন ভাবে আপনার উত্তর হতে পারে লেখা লেখি করি, ছবি বসাই, গান আপলোড করি ফ্লাশ মিডিয়া বসাই ইত্যাদি। প্রায় ৭০% নতুন ওয়েব ডিজাইনাররা এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকে।কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে এসব বিষয় গুলো প্রধানত প্রধান্য পায় না।এসকল বিষয়কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করাই হল অন-পেজ অপটিমাইজেশন।ওয়েব পেজে বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ ব্যবহার করা, সুন্দর করে কনটেন্ট লেখার কলাকৌশল, লিংকের ব্যবহার ,ইত্যাদি করে অনপেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।
কি কি জানতে হবে আপনাকে অনপেজ এসইও শিখতে গেলে?
অন পেজ অপটিমাইজেশন করতে গেলে আপনার বেশি কিছু বিষয়ে ধারনা থাকতে হবে। তা না হলে আপনি ঠিকমতো কাজ করতে পারবেন না। যেমনঃ
সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে ধারনা
ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারনা
HTML এর সম্পর্কে ধারনা
আসুন এবার কি কি বিষয় অনপেজ অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে ভুমিকা রাখে তা নিয়ে আলোচনা করি।
ওয়েব কনটেন্ট হল সেরাঃ
কনটেন্ট অর্থ হল আপনার লেখা, আপনার ওয়েবসাইটে আপনি যা লিখেন সেটাই হল কনটেন্ট। আর এই কনটেন্টই হল অন পেজ অপটিমাইজেশন এর মূল বিষয়বস্তু।
সার্চ র্যাং কিং এ প্রথম অবস্থানে থাকার জন্য যে কয়েকটি শর্ত রয়েছে তার মধ্যে কনটেন্ট এর অবস্থাই প্রথম সারিতে। ভাল মানের কনটেন্ট ছাড়া এখন ওয়েবসাইট এর র্যংতকিং এর কথা চিন্তাই করা যায় না। কারণ এই গুগল পাণ্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেট এরপর ব্যাকলিংক বিল্ডিং অনেকাংশেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে আর বেরেছে ভাল মানের কন্টেন্ট এর মুল্য। ভাল মানের কনটেন্ট বিহীন ওয়েবসাইট র্যাংছক আপ করান এখনকার দিনে খুবই কষ্টসাধ্য। এখন আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার ওয়েব সাইটে ভাল মানের কনটেন্ট রয়েছে বা ভাল মানের কনটেন্ট এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি। আসুন দেখা যাক ভাল মানের কনটেন্ট এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি ।
ভালো কনটেন্ট এ সব সময় চাহিদা পূরণ হয়ঃ
ভালো মানের কনটেন্ট হল সেই কনটেন্ট যাতে একজন ভিজিটর তার কাংখিত বিষয়বস্তু খুজে পায়। যেমন আপনার ওয়েবসাইট যদি “কিভাবে অনপেজ অপটিমাইজেশন করাবেন” এই ধরনের হয়ে থাকে এবং আপনার কনটেন্ট যদি হয় “অফ পেজ অপটিমাইজেশন” নিয়ে তাহলে কিন্তু সেই ভিজিটর এর কাংখিত চাহিদা মোটেও পূরণ হল না। অতএব এই ধরনের কনটেন্ট এর কোন মূল্য নেই সার্চ ইঞ্জিনের কাছে। তাছাড়া আপনি কখনই ভালো ভিজিটর ও পাবেন না। যারাও প্রথমে আপনার সাইট ভিজিট করবে ২য় বার আর আপনার সাইটের দিকে ফিরেও তাকাবে না।
লিংক যুক্ত কনটেন্টঃ
যেই কনটেন্ট এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে লিংকিং করা থাকে সে সব কনটেন্ট গুলকেও ভালো মানের কনটেন্ট হিসাবে ধরা হয়। উদাহারন হিসাবে আপনার উইকিপিডিয়ার কথা বলতে পারি। আপনার ওয়েবসাইট এ যত বেশি ইন্টারনাল লিংকিং করা থাকবে তত বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে আর সাথে সার্চ ফ্রেন্ডলি তো বটেই।
বেশি করে ইন্টারনাল লিংকিং করা থাকলে একজন ভিজিটর খুব সহজেই অন্য কনটেন্ট এ ভিজিট করতে পারে এবং এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের এর গ্রহণযোগ্যতাও অনেকাংশে বেড়ে যায়। অন্য দিকে সার্চ ইঞ্জিন গুলো সবসময় চায় আপনার সাইটের অন্য পেজ গুলকে খুজে বের করে ইনডেক্স করতে। আর তারা যখন একটি কনটেন্ট এর মধ্যে আর কয়েকটি কনটেন্ট এর লিংক খুজে পায় তখন তারা অন্য পেজ গুলতে খুব সহজেই ভিজিট করে ক্রাওলিং করতে পারে। এতে করে আপনার আর্টিকেল ও সার্চ ফ্রেন্ডলি হয়ে যাবে।
ছবি ও ভিডিও যুক্ত কনটেন্টঃ
আপনার ওয়েব সাইটের মধ্যে যদি সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে পূর্ণ থাকে তাহলে সেটাকেও আমরা ভালো মানের একটি কনটেন্ট হিসাবে ধরতে পারি। তবে তা অবশ্যই হতে হবে আপনার বিষয়বস্তু রিলেটেড। তাছাড়া বিষয়বস্তু অনুযায়ী একটি আর্টিকেল এ ভিডিও থাকলে তা ভিজিটর এর কাছে আর বেশি আকর্ষণীয় করে তুলে এবং ভালো মানের কনটেন্ট হিসাবে প্রাধান্য পায়।
একটি ভালো মানের কনটেন্ট এর উদাহারনঃ
তাহলে আমাদের উপরের লেখা থেকে বুঝতে পারলাম যে ভালো মানের কনটেন্ট হল সেই ধরনের কনটেন্ট যা একজন ইউজার এর কাছে আকর্ষণীয় এবং সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজেই ভিজিট করতে পারে। আসুন এবার দেখি একটি কনটেন্ট কিভাবে আপনি সাজাবেন। যাতে একজন কনটেন্ট দেখেও খুশি হয় এবং সাথে সাথে সার্চ ইঞ্জিন ও সহজেই আপনার কনটেন্ট কে রিড করতে পারে।
মেটা ট্যাগ কি কেন কিভাবে
মেটা ট্যাগ হল HTML এর এমন কিছু ট্যাগ যে গুলো আপনার ওয়েব সাইটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলোকে সার্চ ইন্জিনের কাছে প্রকাশ করে থাকে।এসকল ট্যাগের মধ্যকার লেখা গুলো ব্রাউজারে প্রকাশ পায় না (টাইটেল ট্যাগ বাদে). কিন্তু এই ট্যাগ ব্যবহারের ফলে সার্চ ইন্জিন বা অন্য ওয়েব ডেভলপাররা জানতে পারে ওয়েব সাইটের লেখক ,ওয়েব সাইট তৈরীর তারিখ, শেষ আপডেট করার সময় ইত্যাদি। তবে সকল ট্যাগ গুলো SEO তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় যতটা টাইটেলে,কী ওয়ার্ড,Description ট্যাগ গুলো। এই ৩টি ট্যাগ SEO জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ মূলত আমরা এই তিনটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।
মেটা ট্যাগ ব্যবহারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
এতোক্ষণ ধরে মেটা ট্যাগ নিয়ে আমি যা বললাম তাতে হয়তো মনে আসতে পারে মেটা ট্যাগের প্রয়োজনীয়তা সমন্ধে। আসুন জেনে নিই কি জন্য মেটা ট্যাগের গুলো এতটা গুরুত্বপূর্ণ SEO এর জন্য।
মেটা ট্যাগ ২টি কারণের জন্য SEO তে গুরুত্বর্পর্ণ বিষয় হয়।
১. মেটা ট্যাগ SERPs (Search Engine Result Page) সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের পেজে সাইটের তথ্য সরবারাহ করতে সাহায্যে করে।
২. মেটা ট্যাগের মাধ্যমে আপনার ওয়েব সাইটকে SEO তে ভাল স্থানে রাখার পাশাপাশি সাইটের অন্যান্য অংশ বিভিন্ন ভিজিটরদের কাছে প্রকাশ পায়।
এবার আসি মেটা ট্যাগের বর্ণনায়।
টাইটেল ট্যাগের ব্যবহার
টাইটেল ট্যাগ হল একটি HTML এলিমেন্টস বা ট্যাগ। এটি মুলত একটি পেজ এর টাইটেলকে ব্রাউজার এ দেখানর জন্য ব্যবহার করা হয়।
তাছাড়া এই টাইটেল প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজ এ প্রদর্শন করে।
এসইও তে কনটেন্ট এর পরেই টাইটেল ট্যাগ এর অবস্থান। অনপেজ অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে টাইটেল এর গুরুত্ব অনেক।আর একটি সুন্দর টাইটেল আপনার সাইটে অধিক ভিজিট (CRT) বাড়তে পারে।
আপনার পছন্দের কী- ওয়ার্ডের দ্বারা টাইটেল ট্যাগ লেখার সময় কিছু কিছু বিষয় মাথায় রেখে কাজ করলে এইসও তে সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি হবে। যেমনঃ-
১. টাইটেলকে ৬৫ অক্ষরের মধ্যে রাখুন।
২. যথাসম্ভব ছোট করে টাইটেল দিন, আবার বেশি ছোট করতে গিয়ে অদ্ভুত করে ফেলার দরকার নেই। টাইটেল আপনার দেয়া টার্গেটকৃত কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন।
৩. এ ধরণের চিহ্ন যেমন- ( @, #,!,%,^,() ….) ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. টাইটেল ট্যাগটিকে এমন ভাবে লিখবেন যাতে করে যে কেউ আপনার টাইটেল পড়ে সাইটে প্রবেশ করতে আগ্রহী হয়।
যেমন:আপনার সাইটি যদি Hinid Movie কী- ওয়ার্ড দিয়ে বানানো হয় তাহলে ভিজিটররা হিন্দি মুভি সম্পর্কে জানার জন্য ভিজিট করবে।সেখানে যদি আপনি টাইটেলর সাথে কেবল মাত্র Download কথাটি মিলিয়ে Download Hindi Movie করে দেন তাহলে আপনার সাইট যদি ২-৫ নম্বরের মধ্যেও থাকে তবে আপনি অন্যদের তুলনায় বেশি ভিজিটর পেতে পারেন।
ওয়েব পেজ এর ইউআরএল (URL)
অন পেজ অপটিমাইজেশনে ইউআরএল (URL)একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালো ইউআরএল না হলে রেংকিং পাওয়া অনেক দুষ্কর যদি না আপনার ওয়েবসাইট অথোরিটি সাইট না হয়।
তাই লিংক স্ট্রাকচার সবসময় এসইও বান্ধব হতে হবে। ওয়েবসাইট এর লিংক হতে পারে yourdomin.com/nedf48718?p=5000 বা yourdomain.com/how-to-get-a-free-seo-tips.html। আচ্ছা বলুনতো কোনটি আপনার কাছে সবচেয়ে সহজবোধ্য মনে হচ্ছে? ঠিক তাই ২য় টিই আপনার কাছে সহজবোধ্য মনে হওয়ার কথা। করণ আপনি ঐ লিংক দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে ঐ পেজের মধ্যে কি আছে। তাই আপনার মত সার্চ ইন্জিনদের কাছে ও ২য় লিংকটিই সহজবোধ্য মনে হবে। তাই আপনি যখন কোন পেজ বা ফাইলের নামকরণ করবেন তখন অবশ্যই সেটা অর্থপূর্ণ বা কী-ওয়ার্ড সমৃদ্ধ নাম ব্যবহার করবেন।
দেখুন নিচের ছবিতে top 10 tips seo লিখে সার্চ দিলে যে যে লিংক গুলো আসে তাদের সবার পেজে লিংকে কিন্তু ঐ কী-ওয়ার্ড সমৃদ্ধ নাম ব্যবহার করেছে।
আসুন দেখে নেই এর কিছু টিপস
১. সাইটের লিংকের নামে আপনার টার্গেটকৃত কী-ওয়ার্ডটি রাখুন।ধরুন আপনি “free seo tips for my new website” এই ধরনের কী-ওয়ার্ডকে টার্গেট করে পেজটি বানলেন তাহলে আপনি আপনার পেজের নাম রাখতে পারেন “how-can-get-free-seo-tips-for-my new website.html
২. পেজের লিংকে নাম দেয়ার সময় হাইফেন ( – ) ব্যবহার করুন।_, !, (), @,$ এই ধরনের অক্ষর ব্যবহার করবেন না।কারন সার্চ ইন্জিন এই ধরনের অক্ষর ইনডেক্স করে না।
৩. ফাইল বা পেজের নাম দেয়ার সময় a,in,of,to, এমন অক্ষর গুলো ব্যবহার করবেন না।কারণ এগুলোকে সার্চ ইন্জিন “Skipping Word” বলে
৪. ওয়েব পেজের এক্সটেইনশন .html ,.htm .php রাখা ভালো।
৫. আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ইউজ করে তাহলে Permalinks থেকে লিংক স্ট্রাকচার ডিফল্ট থেকে Custom এ গিয়ে %category%/%postname%/ বসিয়ে দিন। তাহলে আপনার লিংক স্ট্রাকচার চেঞ্জ হয়ে যাবে।
Description ট্যাগের ব্যবহার
Description ট্যাগটি ব্যবহার করা হয় আপনার সাইটের বা ওয়েব পেজের একটা ছোট Description বা বর্ণনা দেবার জন্য।আমরা যেমন একটা বিশদ বিষয়ের অনেক সময় সংক্ষেপে প্রকাশ করি তেমনি Description ট্যাগের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে আমরা আমাদের ওয়েব পেজের একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হয়। আপনি যে ড্রেস্ক্রিপশন ্দিবেন আপনার ওয়েব পেজ এ সেটি SERPs পেজে সার্চ ইঞ্জিন গুলো প্রকাশ করে।
কিছু টিপস এর মাধ্যমে আপনি সুন্দর একটা Description আপনার সাইটের জন্য লিখতে পারবেন যেমন
১.আপনার Description টি ১৬০ অক্ষরের মধ্যে রাখুন। কেননা প্রায় সকল সার্চ ইঞ্জিন ১৬০ অক্ষরের বেশী তাদের SERPs পেজে প্রকাশ করে না।
২. এই ট্যাগে বানান যেন ভুল যায় না সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩. ট্যাগটিতে আপনার বাছাইকৃত কী-ওয়ার্ড লিখুন। তবে খেয়াল রাখবেন কোন কী-ওয়ার্ড বা বিষয় যেমন ৩ বারের বেশি ব্যবহার না করা হয়।
৪. সব পেজের Description ট্যাগটি যাতে একই না হয় সেইদিকে খেয়াল রাখবেন।
তাছাড়া টাইটেলে যেসকল টিপস দেয়া আছে তা আপনি Description ট্যাগে ব্যবহার করতে পারেন
কী-ওয়ার্ড ট্যাগের ব্যবহার
কী-ওয়ার্ড ট্যাগ হল আপনার সাইটে যেসকল কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করেন তার একটা সূচিপত্র হিসাবে কাজ করে থাকে। ওয়েব সাইট ডিজাইনের সময় আমরা অনেক ধরনের মেটা ট্যাগ নিয়ে কাজ করি।
এর মধ্যে
এই ট্যাগটি “মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ” নামে পরিচিত।এই মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ দ্বারা আপনি আপনার সাইটের কী-ওয়ার্ড ব্যবহারের কাজ করতে পারবেন।এ জন্য আপনি আপনার সাইটের HTML এডিটর পেজে গিয়ে ও ট্যাগ এর মধ্যে আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ডটি বসিয়ে দিন।
ব্যাস হয়ে গেল আপনার সাইটে মেটা ট্যাগ ব্যবহার করা।আরো অনেক মেটা ট্যাগ আমরা সাইটে ব্যবহার করে থাকি ।এসব ট্যাগের ব্যবহার জানতে এই টিউনটি আপনারা দেখতে পারেন।তবে মেটা ট্যাগ ও কী-ওয়ার্ড এর ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম বা টিপস মেনে চলা উচিত।ড়তে করে আপনি আরো ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
যেমন:
১. আপনর সাইটের যে কী-ওয়ার্ডটির উপর ভিত্তি করে বানাবেন সেই কী-ওয়ার্ডটি যেন আপনার মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে ৩ বারের বেশি না থাকে।
২. আপনার সাইটে মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার করুন সর্বোচ্চ ১ বার।
৩. মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে একটি কী-ওয়ার্ড বার বার না লিখে অন্য ভাবে তা লেখার চেষ্টা করুন,যেমন প্রথমে যদি লেখেন Download hindi movie hindi movie তা হলে সেটাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে download hindi movie বা আরএকটু পরিবর্তন করে download hindi movie online করে নিতে পারেন।
৪. প্রতিটি কী-ওয়ার্ডের পর একটি করে কমা(,) ব্যবহার করুন.
৫. অযথা বেশি কী-ওয়ার্ড দিয়ে আপনার মেটা ট্যাগ জ্যাম করে ফেলবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৬. বেশ কিছুদিন আগেও কী-ওয়ার্ডের ট্যাগ তেমন কোন কাজে আসতো না আবার অনেকে বলেছিল যে এই ট্যাগ এখন আর কাজ করে না। কিন্তু ইদানিং গুগল নিজেও এই ট্যাগকে গুরুত্ব সহকারে দেখে। তাই এই কী-ওয়ার্ড ট্যাগ কে বাদ না দেয়াই শ্রেয়।
সাইটে
থেকেট্যাগ ব্যবহার
আপনার সাইটের পেজ গুলোতে কোন শিরোনাম ব্যবহার করলে তা অবশ্যই h1,h2,h3,h4,h5,h6 ট্যাগ গুলোর মধ্যে ব্যবহার করুন। কারণ সার্চ ইন্জিন গুলো আপনার ওয়েব সাইটের Bold ,Italic Underine এই ট্যাগ গুলো থেকে h1,h2 তাদের এললগারিদমে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।মূলত সার্চ ইঞ্জিন এগুলকে একটি পেজ এর টাইটেল বা শিরোনাম হিসাবে ধরে। আর যদি আপনি গুগল এডেসেন্স ব্যবহার করেন তাহলে ইন্জিন থেকে ট্যাগ গুলোর মধ্যে যে কী ওয়ার্ড গুগল থাকে ওগুলো থেকে এড দেয়ার চেষ্টা করে। কোন সার্চ ইন্জিন যখন কোন পেজ ক্রাউলিং করে তখন সে যদি থেকে এর মধ্যে কোন ট্যাগ খুজে পায় তাহলে সে সেটিকে ঐ কন্টেট বা পেজ এর হেডলাইন বা শিরোনাম হিসাবে গ্রহণ করে। তাই অন-পেজ অপটিমাইজেশনে এই ট্যাগ গুলো ব্যবহার করলে সার্চ ইন্জিনের জন্য আপনার সাইট অনেক অংশেই তৈরী হয়ে যাবে।আসুন দেখে আসি কিভাবে ব্যবহার করবেন
১. কোন লেখা শুরু করার প্রথমেই বা ট্যাগ ব্যবহার করুন শিরোনাম হিসাবে।
২. এই ট্যাগের মধ্যে আপনি আপনার কাংখিত কী-ওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন।
৩. যথা সম্ভব ৬০ অক্ষরের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করুন।
৪. একই কী-ওয়ার্ড বার বার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।না হলে সার্চ ইন্জিন গুলো এটিকে স্প্যামিং হিসাবে ধরে নিবে।
• ৫. লেখার মাঝখানে মাঝখানে < h2>বা অন্য গুলো উপ শিরোনাম হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।এতে করে আপনার সাইটটি অনেকটা ন্যাচারেল মনে হবে।আর প্রতিটি সার্চ ইন্জিনই সাইটের নমনীয়তা বা ন্যাচারেল ভাবটিকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে
ইমেজে ব্যবহার করুন ALT ট্যাগঃ
আমরা যখন কোন কনটেন্ট লিখি তখন সেই কনটেন্ট এর মধ্যে অনেক ইমেজ ব্যবহার করি। কিন্তু গুগলের কাছে সাধারন ভাবে ইমেজ এর কোন মূল্য নেই। তখনি আছে যখন আপনি ওই ইমেজকেও সার্চ এর জন্য অপ্তিমাইজ করবেন। আমরা অনেকেই শুধু ওয়েব সার্চ নিয়েই পড়ে থাকি কিন্তু গুগলের “ইমেজ সার্চ” নিয়ে অনেকেই ভাবি না। কিন্তু সারা বিশ্বের সব সার্চের প্রায় ২০% সার্চ হয় কিন্তু ইমেজ। তাই আপনি যদি এই বিষয়টি বাদ দেন তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে যাবে। তাই আপনি যদি আপনার সাইট এ কোন ইমেজ ব্যাবহার করে থাকনে তাহলে অবশ্যই ALT tagটি ব্যাবহার করুন। এতে করে সার্চ ইঞ্জিন স্পাইডারটি আপনার ইমেজ এর লিঙ্কটি তার ডাটাবেজ এ নিয়ে নিবে। পরর্বতীতে যদি কেউ আপানার ইমেজ এর মত ইমেজ সার্চ করে তাহলে আপনার ইমেজটি সার্চ এর রেজাল্ট এ চলে আসবে। এখান থেকেও আপানার সাইট কিছু ভিজিটর কাছে পরিচিতি পাবে
আপনি যখন কোন ইমেজ ওয়েব সাইট এ এড করবে তখন ইমেজ এর কোডের পাশে একটা ছোট অংশ জুড়ে দিতে হবে। যেমন যদি আপনার ইমেজ এর কোড এমন হয় তাহলে তার পাশে ঠিক এভাবে ALT ট্যাগ বসালেই গুগল বুঝতে পারবে যে আপনি এই ইমেজটিকে ব্যবহার করেছেন সার্চ ইঞ্জিনের জন্য।
মনে করুন আপনি একটি ইমেজকে mobile কী ওয়ার্ড এ ইমেজ সার্চ এ আনতে চাচ্ছেন। তাহলে mobile লেখাটি আপনি আপনার ALT ট্যাগ এর মধ্যে দিয়ে দিন।এখন আপনার ইমেজ যদি ইঊনিক হয় তাহলে গুগল ইমেজ এ যদি কেউ mobile লেখে সার্চ দেয় তাহলে গুগল কি দেখাবে । দেখাবে হল যেই ইমেজ এ অল্টার ট্যাগ বা Keyword mobile ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো। আর এর মধ্যে যদি গুগলের কাছে আপনার ইমেজ ভালো লেগে যায় তাহলে আপনি ও চলে আসতে পারেন র্যাং কিং এ।